
লাদাখে ভারত-চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেই উত্তেজনার কোনো কমতি হয়নি এখনো। চীন ছাড়াও প্রতিবেশি নেপালের সঙ্গেও সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চলছে ভারতের। সেই উত্তেজনার মধ্যে এবার বিহারের সীমান্তের একটি অংশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল।
সম্প্রতি সীমান্তের বিতর্কিত তিনটি এলাকাকে মানচিত্রে স্থান দিয়ে সংবিধান সংশোধন করেছে নেপাল। এবার বিহার সীমান্তের একটি এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করেছে তারা।
নেপাল সীমান্তের পূর্ব চম্পারণ এলাকায় বাঁধের কাজ করছিল বিহারের পানি সম্পদ দপ্তর। সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল। তাদের দাবি, ওই এলাকা নেপালের ভূখণ্ডে পড়ে।
বিহার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, লাল বাকি নদীতে বাঁধের কাজ জোর করে থামিয়ে দিয়েছে নেপাল সরকার। বহুদিন আগে থেকেই লাল বাকি নদীতে ওই বাঁধ ছিল। হঠাৎ করে তারা কাজে বাধা দিয়েছে।
বিহার সরকার নেপালের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে কান দেয়নি নেপাল। ফলে বিহার সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ও নেপালি দূতাবাসকে বিষয়টি জানিয়েছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রকৌশলী উমা নাথ রাম দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘প্রায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে বন্যার সৃষ্টি করে এবং প্রতি বছর বাঁধটি মেরামত করা হয়। আমরা এটিকে আরও শক্তিশালী করতে এবং এর উচ্চতা ৩.৬ কিমি বরাবর কাজটি শেষ করেছি। তবে নেপাল থেকে আসা কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীরা আমাদের আর কোনো পদক্ষেপ নিতে বাধা দিয়েছেন।’
রাম বলেন, নেপালের কর্মকর্তারা ৩.১ কিলোমিটার প্রসারিত কাজ শেষ হওয়ার পরেই আপত্তি শুরু করেছিলেন। তবুও, নেপালিরা এসে প্রকল্পটি বন্ধ করার আগে তিনি এবং তার দল একরকম আরও ৫০০ মিটার কাজ শেষ করতে পেরেছিলেন।
বিহারের সঙ্গে নেপালের ৭২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। ভারতের পানি সম্পদ বিভাগ (ডব্লিআরডি) কর্তৃপক্ষ লাল বকেয় নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণে নেপালের বাধা দেওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে।
এর আগে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সীমান্তের তিনটি বিতর্কিত এলাকাকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভূক্ত করেছে নেপাল। সম্প্রতি তা দেশটির সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে। নেপালের সঙ্গে সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে করা হবে বলে জানিয়েছিল ভারত।
পাঠকের মতামত